“অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী”
নাচোল
মোসা: সালমা খাতুন: সে একজন নির্যাতিত মহিলা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে প্রেম করে তার বিবাহ হয়। পরবর্তীতে তার স্বামী তাকে রেখে চলে যায়, তার এক সন্তান কে নিয়ে সে তখন বিপাকে পরে। পরবর্তীতে সংসার চালানোর জন্য সে কিছু অটো রিক্সা কিনে তা মানুষ কে ভাড়ায় চালাতে দেন, কিন্তু সেখানেও সে প্রতারণার শিকার হয়, চালকরা তাকে ঠিক মতো ভাড়া মিটাতনা, রিক্সার দেখভাল করতেন না ভালো মতো, ফলে সে সব রিক্সা গুলো বিক্রয় করে ঢাকায় এক প্রাইভেট কম্পানিতে যোগদান করেন। প্রথম প্রথম ভালোই কাজ করলে পরবর্তীতে সে তার সহ কর্মীদের কাছে খারাপ হয়ে যায়। কারণ তার সহকর্মীরা তার মত কাজ করতে না পারায় প্রতিদিন সিনিয়র অফিসার এর বকা খেতে হতো। তখন তার সহকর্মীরা তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত করে চাকরি ছাড়াতে বাধ্য করেন। তার পর সে বাবার বাড়ি ফিরে আসে। সেখানে তার কিছু জমানো টাকা দিয়ে সে গরু লালন পালন করা শুরু করে। এভাবে তার ব্যবসা দিন দিন ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। পরবর্তীতে তার পালিত গরু গুলি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামের হাটে বিক্রয় এর উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। বর্তমানে তার খামারে ২০টি অধিক গুরু রয়েছে এবং সে চার বিঘা মতো জমিতে ঘাস চাষ করছে। সে নিজে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করার পাশা পাশি গ্রামের আরে ৫/৭ জন মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী
গোমস্তাপুর
শ্রীমতী শোভারানী মজুমদার ৫ বোন এবং ৩ ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় সন্তান। তিনি খুব দারিদ্র্যতার মধ্যে ১৯৬৪ সালে এস,এস,সি এবং ১৯৬৮ সালে রাজশাহী নার্সিং ইন্সটিটিউট হতে নার্সিং পাশ করেন। ১৯৬৮ সালে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় সিনিয়র নার্স হিসাবে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। বৈবাহিক কারণে রাজশাহী জেলায় শ্বশুর বাড়ী হওয়ায় এক প্রকার চাকুরী হতে অব্যাহতি চান। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশে যখন নতুন সরকার গঠন করে তখন তাঁকে ০১/০৯/১৯৭২ সালে নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়োগ প্রদান করে। ১৯৭২ সাল থেকে তিনি এই পেশায় নিয়োজিত থেকে গোমস্তাপুর, নাচোল এবং ভোলাহাট উপজেলায় নিজের কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন যা এলাকার জনগণের মুখে মুখে শোভারানীর নাম ছড়িয়ে আছে। তিনি ০১/০৯/২০০৫ সালে চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করেন। ব্যক্তি জীবনে ২ সন্তানের জননী। তিনি ০৩ সন্তানকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।
“সফল জননী নারী”
নাচোল
মোসা: জামিলা বেগম : তার স্বামী মারা যাবার পর ১২ (বার) ছেলে মেয়ের সংসার নিয়ে বিপাকে পরে সে, তবে মনোবল শক্ত রেখে তার স্বামীর রেখে যাওয়া জমি জমাকে পুঁজি করে তার ছেলে মেয়ের লেখা পড়া চালিয়ে যেতে থাকেন। সংসার ও ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ তার একার পক্ষে বেশ কষ্টকর হয়ে উঠে তারপর ও তিনি হাল ছেড়ে দেয়নি শত প্রতিকূলতার মধ্যে সে তার সকল সন্তান কে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেন। বর্তমানে তার এক ছেলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী, এক মেয়ে প্রধান শিক্ষক, এক মেয়ে নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, চার মেয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক এবং এক মেয়ে বিআরডিপিতে কর্মরত রয়েছেন।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী:
শিবগঞ্জ
মোসাঃ আলেয়া খাতুনের বাবা ছোট তিন ভাই বোন রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তার পৈত্রিক বাড়ি দিনাজপুর তার মা পেটের দায়ে শিবগঞ্জ আসেন এবং আরেকটি বিবাহ করেন। পূর্বেই আলেয়ার পিতা কে হারায় এখন তার মাথার উপর থেকে মায়ের ছায়াও সরে যায়। নিজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাতে সে মানুষের বাসায় কাজ করত। এক সময় মিষ্টির দোকানে কাজ নেয়। বিয়ে করলেও তার স্বামী ছিল একজন কালোবাজারি তাকে ব্যবসার কাজে লাগাতে চাইলে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর করোনায় মিষ্টির দোকানের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে তিনি ভ্যানে করে ফল বিক্রি শুরু করেন চুক্তি ভিত্তিক। পরে তিনি নিজের একটি ভ্যান ক্রয় করে যাত্রী পরিবহন শুরু করেন। একই সাথে নানা ক্ষুদ্র ব্যবসা চালিয়ে বর্তমানে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী
সদর
আমি মোসাঃ বিউটি বেগম। দীর্ঘ দিন ধরে আমি জনসেবামূলক কাজ করে আসছি। শীতকালীন সময়ে নিজের অনুভূতি থেকে জানতে পারি শীতে হতদরিদ্র পরিবারের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, অসচ্ছল পরিবারের শিশুদের কিভাবে জীবন যাপন করছে তখন আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, বিভিন্ন ব্যাংক, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন উপর মহলে শীতবস্ত্রের আবেদন করি। আবেদনের আলোকে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৭০০টি শীতবস্ত্র অনুদান পাই। পরবর্তীতে সেই শীতবস্ত্রগুলো এলাকায় ব্যানার টাঙ্গিয়ে ৭০০টি পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। ২০২০ সালে কোভিড -১৯ এর ভয়াবহ আগ্রাসনে আমি হেটে হেটে জেলা প্রশাসক অফিসের কার্যালয়, এমপি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য দ্রব্য অনুদান নিয়ে এসে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি। যে সময় মানুষ ঘর থেকে বের হতো না করোনার ভরে ঐ সময়ে আমি নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি দুর্ভিক্ষ চলাকালীন তিনটি বছর। এছাড়াও সিভিল সার্জন অফিস ও মহিলা এমপির কাছ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাক্স সংগ্রহ করে হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করি। বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতিতে প্রায় ০৩ বছর ধরে ভূমিহীন মানুষের মাঝে কাজ করছি। ভূমিহীনদের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরিশেষে, আমি সমাজ সেবামূলক কাজ করতে পেরে একজন নারী হিসেবে ধন্য মনে করি।
শুধু সদর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা-২০২২
“সফল জননী নারী”
সদর
আমি মোসা: শওকতারা বেগম ১৯৬২ সালে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করি। ১০ ভাইবোন বাবা মা নিয়ে অত্যন্ত অনাহারে দিন কাটতো। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় আমার বিয়ে হয়ে যায় এক পুলিশ সদস্যের সাথে। ১৯৮২ সালে আমার প্রথম কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে এর দুই বছর পর ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করি। এভাবেই পর পর আরও ২ জন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। আমি ঘরবাড়ি সব দায়িত্ব সামলিয়ে সন্তানদের লেখাপড়া করাতাম। পরিবারে অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে আমার তিন মেয়ে ও ছেলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।এর মধ্যে আমার স্বামী ২০১১ সালে চাকুরী থেকে অবসরে আসেন। অল্প শিক্ষিত মা হিসেবে আমি আমার ছেলে মেয়েকে সুশিক্ষিত করে তাদেরকে ভালো জাগায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু সুখের আলো দেখার মাত্রই আমার বড় মেয়ে ২০২০ সালে স্ট্রোক করেন। এরপরও বাঁপাশে প্যারালাইসিস হয়ে যায়। মেয়ের অবস্থা দেখে ২০২১ সালে আমি নিজেও স্ট্রোক করি। কিন্তু ডাক্তারের সুচিকিৎসা পাওয়ায় আল্লাহর রহমতে সুস্থ্য হয়ে যাই। তাই আমি সবসময় ছেলেমেয়েদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করি। শত প্রতিকূলতার মাঝেও ছেলেমেয়েদের ভালভাবে মানুষ করতে পেরেছি, তাই আমি একজন সফল জননী।
শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী
সদর
আমি মোসাঃ সাকেরা খাতুন, বয়স-২৪ বছর। আমাদের পরিবারের মোট সদস্য ০৬ জন ।আমার বাবা একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী আর মা গৃহিনী। প্রতিবেশীরা আমার মাকে বলতো পড়াশোনা করে কি হবে বরং এদেরকে ঘরের কাজ শেখান। আমরা মা তাদের কথায় কান না দিয়ে প্রতিবেশী এক আপুর সাহায্যে নিয়ে আমরা দুই বোন প্রাইমারীতে ভর্তি হই।প্রাইমারী পাশ করে আমি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কিন্তু মায়ের স্বপ্ন ছিল আমাদের দুই বোনকে লেখাপড়া শিখে ভালো কিছু করার।এরপরে আমি এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে আল্লাহর রহমতে পাশ করি। ভালো ফলাফল হওয়ায় নবাবগঞ্জ মহিলা কলেজে লেখাপড়া করার সুযোগ হলো। একজন সহৃদয় বান ব্যক্তির সহায়তায় তিনি আমাকে কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দিলেন। ২০১৫ এইচ এস সি পাশ করে ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হই। কিছুদিন পরে জীবন যুদ্ধে পথ চলার সাথী আমার শ্রদ্ধেয়ও বড় বোনের শরীরে ক্যান্সার ধরা ঐ সময় রাজশাহীতে আমার বোনের চিকিৎসা করাতেই গিয়ে রাজশাহী কারারক্ষী পদে দাঁড়ালাম। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমার চাকুরীটা হয়ে গেল। বর্তমানে আমি চাকুরীর পাশাপাশি অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছি।। এছাড়াও চাকুরী করে পরিবারকে সাহায্য ও বোনের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।
“অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী”
সদর
আমি মোসা: শামসুন্নাহার পলি। আমরা তিন বোন দুই ভাই। আমার বাবা একজন কৃষক। অন্যদিকে আমার মা সংসারের কাজ কর্মের পাশাপাশি হাঁস-মুরগী, গরু, ছাগল পালন করে যা আয় হতো তা বাবাকে সাংসারিক খরচের জন্য যোগান দিত। ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়ন অবস্থায় আমি একটু একটু করে হস্ত শিল্প কাজ শুরু করি। এমতাবস্থায় আমার বান্ধবী চাদরে মধ্যে হাতের কাজ করতে দেয়। এবং হাতের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন করে ৩৫০/- টাকা মজুরী পাই। এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম উর্পাজন। এভাবে হাতের কাজ করে আমি নিজের পড়াশুনার খরচ চালাতাম। ২০০১ সালে এসএসসি পাশ করার পর একজন এনজিও কর্মীর সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরও আমি হাতের কাজ চালিয়ে যেতে থাকি। আমি বাড়ির সকলের অগোচরে দক্ষতার সহিত কাজ করতেই থাকি এবং কাজে অর্ডার আসতেই থাকে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, অন্যায় অত্যচার, লাঞ্চনা-বঞ্চনা ও নির্যাতন সহ্য করে এখন আমি সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছি। বর্তমানে নকশী কাঁথা, বেড সীট ,থ্রী পিচ, এম্বয়ডারী ও হাতের বিভিন্ন কাজের উপর ব্যবসা পরিচলানা করে মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারি। এছাড়াও আমার নিজস্ব একটি বুটিক সেন্টার রয়েছে। যার নাম বর্ষা নকশী পল্লী। আমার অধীনে প্রায় ৩৬০ জন মহিলা কাজ করে।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী:
সদর
আমি মোসাঃ দিলরুবা জাহান। আমরা চার বোন এক ভাই আমি মেজো। কলেজে পড়া অবস্থায় ২০০১ সালে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক সৈনিকের সাথে বিয়ে হয়। আমার বাবার বাড়ীর কাছ থেকে যৌতুক না পাওয়ায় বিয়ে ০২ বছর পর আমার উপর অমানসিক নির্যাতন শুরু করে। এরমধ্যে আমার দেবর আমার ছোট বোনকে বিয়ে করে। এবার আমার উপর আরও অত্যচার বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে আমার শ্বাশুড়ি আমাকে শরীরিক ভাবে আঘাত করে। দীঘ ৪ বছর পর আমি ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে গোপনে চলে যাই। ২০০৯ সালে বাবা মারা যান। বাবা মারার যাওয়ার ০১ মাস ১২ দিনের মাথায় আমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। পরের দিন আমার স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসি। স্বামীর মরার ১০ দিনের মাথায় আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।শেষে আমি ছেলে মেয়ে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতেই চলে গেলাম। সেখানে দুই মাস ভালো কাটলেও পরবতীতে আমার উপর আমার পরিবারের লোকজন বিরুপ আচরণ শুরু করে। ০৪ মাস বাবার বাড়িতে থাকার পর আমাকে বাড়িতে থেকে বের করে দেয়। অবশেষে বাড়ি থেকে বের হয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত বালুগ্রাম নামক স্থানে একটি ছোট বাসা ভাড়া নিয়ে শুরু করি আমার জীবনের পথ চলা। বর্তমানে সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েও আমি অনেক ভালো আছি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস